এমডি ম্যাক্স

সেই কবে থেকেই অস্ট্রেলিয়া সিরিজ পিছিয়ে দিচ্ছিল, আর নিরাপত্তার অজুহাত তা ত আছেই, তবে কি তারা বুঝতে পেরেছিলন তাদের সেই সোনালী দিন আর নেই? নাকি টাইগার্সদের ভয়ংকর,সর্বনাশা করাল ছোবল থেকে আর পার পাবেননা।

অবিশ্বাস, অসাধারণ আর শ্বাসরোধদকর এক জয় উপহার দিল হোম টিম বাংলাদেশ। বিশ্বক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়াকে হারানো তা এখন ক্রিকেট বিশ্বের হটকেক, যদিও ইতিহাসের লাল গালিচায় মোড়ানো পথ দিয়ে যাওয়া এই পথ চলা তেমন সহজ ছিলনা, কি হত যদি একটি টেস্ট এর পরিবর্তে সিরিজ খেলতে হত বিজিত দলকে হত,আর তাতে হেরে বসত, সেই লজ্জা রাখত কোথায়?।
প্রথম ইনিংসে এত কম রান কেন? তা নিয়ে ভয় ছিল আমাদের, যে আত্নপ্রত্যয় আর দেশপ্রেম নিয়ে ব্যাট করে যাচ্ছেন তামিম ইকবাল তা চোখে পড়ার মত। শাকিবের উপর দিয়ে যে প্রত্যাশার চাপ কিভাবে সামলালেন তিনি প্রথম ইনিংসে তা চরম কৃতিত্বের যে অভিপ্রায়, সাথে দুই ইনিংসে ৫ উইকেট আর টেস্টে মোট ১০ উইকেট, অথচ প্রথম ইনিংসে এই দুটো বড় স্কোর ছাড়া আমাদের তেমন আর রান নেই, এত কম রান করে কি আমরা আবারো চাপে পরে গেলাম? তবে আমাদের টাইগার্সদের যে আত্মবিশ্বাস আর ধারাবাহিকতা এতেই ভুবন বিখ্যাত অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন আপ ভেঙে চুরমার এবং ম্যাচের ভাগ্য লিখে ফেললেন। স্পিন,টার্ন,বাউন্স আর ভ্যারিয়েশনে কুপোকাত অসিরা।
লিড নিল স্বাগতিক দল।
যা হতাশ হওয়ার তা ছিল ২য় ইনিংসে, একমাত্র আমাদের ভরসা তামিম ছাড়া শাকিবই ব্যর্থ, সাথে অনেকেই, এক্ষেত্রে আলোচনা আসছে মুমিনুল কে নিয়ে, কারন অস্ট্রিলিয়ার সামনে টার্গেট এত কম, কিন্তু অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্য আর চরম মাইন্ড গেইম,পরিকল্পত আক্রমণ আর চিন্তাকর্ষক অধিনায়কত্ব, এতেই পতন অহংকারের,ধুলিমাখা হল সাম্রাজ্যের, ওয়ার্নারের সেঞ্চুরি বাঁচাতে পারেনি দলকে। শাকিব,তাজু,মেহদী অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের মূর্তিমান আতংকে পরিণত হলেন। কি হল সেই সাফল্যের,স্যার ডন ব্রাডম্যান নাকি লাঞ্চের আগেই সেঞ্চুরি করতেন, আর একসময় স্টিভ ওয়াহ কে প্রশ্ন করা হয়েছিল সফররত বাংলাদেশের বিপক্ষে একদিনে টেস্ট ম্যাচ জিততে পারবে কিনা? হেসেই বলেছিলেন তিনি চেস্টা করবেন, কিন্তু আজ ৪র্থ দিনে টি ব্রেকের আগেই অস্ট্রেলিয়ার যবকিনাপাত।
হাজারো শুভাচ্ছে টাইগার্সদের।
অপেক্ষায় আছি অস্ট্রেলীয় মিডিয়ার কট্টর সমালোচনা পড়তে।